Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

ছবি
শিরোনাম
ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা-২০১৫
বিস্তারিত

ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার ডিজিটাল বাংলাদেশের ধারণাটি জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ (Knowledge based society) কে কেন্দ্র করে প্রতিষ্ঠিত। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি হচ্ছে এই জ্ঞান ভিত্তিক সমাজ তৈরির একটি গুরম্নত্বপূর্ণ উপাদান। ডিজিটাল বাংলাদেশ হচ্ছে ICT বা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে e-Governance প্রতিষ্ঠিত করা ও সেবা প্রদান সহজ করা। যদি বাংলাদেশকে ডিজিটাল করা সম্ভব হয় তাহলে এটি একটি e-state এ পরিণত হবে যেখানে থাকবে e-governance, e-banking, e-commerce, e-learning, e-agriculture, e-health এবং আরও অনেক কিছু থাকবে। রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ বাসত্মাবায়ন করতে গিয়ে UNDP কর্তৃক পরিচালিত মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের a2i  প্রোগ্রাম নাগরিকদের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ই নভেম্বর ২০১০ ইং তারিখে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্ভোধন করলেন ‘‘ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার’’ (UDC)। আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধা বঞ্চিত মানুষের তথ্য অধিকার ও সেবা প্রাপ্তির বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরম্নতব দিয়ে এবং জেলার সকল প্রামেত্মর মানুষকে তথ্য প্রযুক্তির মহাসড়কে প্রবেশের সুযোগ করে দিয়ে বাংলাদেশকে সত্যিকার অর্থে ডিজিটাল বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে কিশোরগঞ্জ জেলায় ১০৮টি ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে একটি করে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার (UDC)। প্রতিটি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে স্থাপন করা হয়েছে কম্পিউটারসহ আধুনিক ইন্টানেট সেবা প্রদানের প্রয়োজনীয় সকল সরঞ্জাম। এসব ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে নিয়োগ করা হয়েছে ০২ (দুই) জন স্থানীয় উদ্যোক্তা (একজন মহিলা ও একজন পুরুষ)। রয়েছে দু’জন করে বিকল্প উদ্যোক্তা। উদ্যোক্তগণ সার্বক্ষনিক  ইউনিয়নের সর্বসত্মরের মানুষকে বিভিন্ন ধরণের নাগরিক সেবাসমূহ প্রদান করেন। এছাড়াও ডিজিটাল সেন্টারে রয়েছে কম্পিউটার বিষয়ক বিভিন্ন ধরণের প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা।    ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার হওয়ার পর জমির নকল উত্তোলন- আরও কম সময়ে, ঝামেলামুক্ত উপায়ে:একটা সময় ছিল যখন জমির বিভিন্ন ধরনের নকল পেতে হলে নানা রকমের ঝামেলা পোহাতে হত। জেলার ইউডিসি মাধ্যমে এখন আগের চেয়ে অনেক কম সময়ে এবং কোন ধরনের বিড়ম্বনা ছাড়াই নকল উত্তোলন করা যাচ্ছে। জেলার ইউডিসির সেবাকেন্দ্রে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যমত্ম নকলের আবেদন গ্রহণ করা হয়। প্রাপ্ত নকলের আবেদনগুলো ইন্টারনেট (কম্পিউটার নেটওয়ার্ক) এর মাধ্যমে রেকডরম্নমে পাঠিয়ে দেয়া হয়। রেকডরম্নমের কর্মচারি/কর্মকর্তাগণ যাচাই বাছাই করে স্বল্পতম সময়ে নকল প্রস্ত্তত করে জেলা ই-সেবাকেন্দ্রে প্রেরণ করেন। তাছাড়া ইন্টারনেটের মাধ্যমে যে কেউ ঘরে বসে বা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে নকলের জন্য আবেদন করতে পারেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এ একজন আবেদনকারী জেলা সদরে আসারও কোন প্রয়োজন নাই। ডাকযোগে বা ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের মাধ্যমে নকলের ডেলিভারী গ্রহণ করতে পারেন। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এ একজন আবেদনকারী আবেদন পত্র জমা দেয়ার সাথে সাথে আবেদনের গ্রহণ রশিদ পেয়ে যাচেছন। তাছাড়া নকলের আবেদনের সাথে সাথে নকল সরবরাহের তারিখও পেয়ে যাচেছন। ফলে সেবা গ্রহীতাকে আর কোন ধরণের হয়রানির স্বীকার হতে হচ্ছে না। এমনকি একজন আবেদনকারী তার হাতের মোবাইল ফোনটি ব্যবহার করে তার আবেদনের ভিত্তিতে গৃহীত ব্যবস্থার সর্বশেষ অবস্থা জানতে পারছেন, যা দাপ্তরিক কাজে এনে দিয়েছে অভূতপূর্ব স্বচছতা ও জবাবাদিহিতা। এ স্বচছতা ও জবাবদিহিতার ভিত্তিতে কম সময়ে অধিকতর মানসম্মত সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে জেলা ই-সেবাকেন্দ্র অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছে। একটি চীনা প্রবাদ আছে ‘‘The journey of a thousand miles begins with a single step”. (হাজার মাইলের যাত্রা একটি পদক্ষেপের মাধ্যমে শুরু হয়)।   একনজরে কিশোরগঞ্জ জেলায় গৃহীত উলেস্নখযোগ্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের বিভিন্ন পদক্ষেপঃ v       কিশোরগঞ্জ জেলা ও সকল উপজেলার কর্মকর্তাদের ওয়েব প্রোর্টাল বিষয়ক ট্রেনিং প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে কিশোরগঞ্জ জেলা, ১৩টি উপজেলা ও ১০৮টি ইউনিয়নে পোর্টাল তৈরি সম্পন্ন হয়েছে ও হালনাগাদকরণ নিয়মিত চলছে, যাতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাগণ কাজ করছেন।v       ২০১৩ সালে অন লাইন রেজিঃ কার্যক্রমের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জে জাতীয় ডাটাবেজ তৈরি সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে, যাতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তগণ কাজ করছেন। v       মালয়েশিয়ায় অন লাইন রেজিঃ কার্যক্রমের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জে ৩৫৭৫০ জন কর্মীর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে, যাতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তগণ কাজ করছেন। v       হংকং, সিংগাপুর ও জর্ডানে অন লাইন রেজিঃ কার্যক্রমের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জে ১০১১ জন কর্মীর রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে, যাতে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তগণ কাজ করছেন। v       ১০৮টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার থেকে গত এক বৎসরে ১১৮০৭৭ জনকে সেবা দিয়ে মোট ৮৭৮৯১৬৬ টাকা আয় করা হয়েছে।